বাংলাদেশে সম্প্রচার হওয়া বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।

15 January, 2018

লেখাপড়ায় আমার হাতে খড়ি হয় আমার বাবার কাছে ।



১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দে দেশ স্বাধীনের পরে লেখাপড়ায় আমার হাতে খড়ি হয়। তৎসময়ে ৮ম শ্রেনীতে পড়ুয়া আমার মেজো ভাই জনাব আলী আখতার গোলাম কিবরিয়া আমাকে ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে আমাদের গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘বুড়াবাউরা এম এফ পি স্কুলে নিয়ে যান এবং স্কুলের সেকেন্ড টিচার অহির উদ্দিন স্যারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আমাকে তথায় প্রথম শ্রেনীতে ভর্তি করিয়ে দেন। প্রথম শ্রেনীতে আমার ভর্তি রোল ছিল ৫৪ ।
আমার বাবা মোজাম্মেল হোসেন বড়খাতা বাজার থেকে আমার জন্যে প্রথম শ্রেনীর বাংলা বই ‘ সবুজ সাথী ১ম ভাগ’ বইটি ক্রয় করে আনেন এবং রেওয়াজ অনুযায়ী আমাদের পীর সাহেব হুজুর হযরত নুর আহাম্মদ দরবেশ সাহেবের হাত দিয়ে আমার হাতে অর্পন করান । মুলত লেখাপড়ায় আমার হাতে খড়ি হয় আমার বাবার মাধ্যমেই ।
আমার বাবার প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া বেশীদুর ছিল না ।তিনি ভারতের মাথাভাঙ্গা ইংরেজী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন । ১৯৩৭ খ্রীষ্টাব্দে তাঁর একমাত্র অভিভাবক ও বড়ভাই আজগার আলী মৃত্যুবরন করলে সংসারের হাল ধরার জন্যে লেখাপড়ায় ইতি টেনে তাঁকে বাড়ী ( বর্তমান জেলা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানা/উপজেলার অন্তর্গত পূর্বফকির পাড়া গ্রাম)’তে চলে আসতে হয় । বাবার লেখাপড়া বেশীদুর না থাকলেও আমরা সব ভাইবোন, আমাদের ভ্রাতুষ্পুত্র-ভ্রাতুষ্পুত্রী, আমাদের ভাগ্নে-ভাগ্নি সবাই এস এস সি পর্যন্ত বাবার সরাসরি তত্বাবধানে লেখাপড়া করতাম ।
উল্লেখ্য যে, মুল বাড়ীটির বহিরাঙ্গনে থাকা ভিটে জমিটি বিশাল ছিল, জমিটির তফশীলঃ জেলা-লালমনিরহাট, উপজেলা/ থানা- হাতীবান্ধার অন্তর্গত মৌজা পূর্ব ফকির পাড়ার এস এ দাগ নং ১৫৯৪/ হাল দাগ নং ২৮৯৩ এর বাটা ২৯৭৮ এ ১৪(চৌদ্দ) শতক । এই জমির পূর্ব-দক্ষিন কোনে বোগড় আমগাছ তলার নীচের ফাঁকা জায়গায় এবং একই দাগের পশ্চিম সীমানায় উত্তর-দক্ষিনে লম্বা কাছারী ঘরে বাবা আমাদেরকে পড়াতেন ।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টা বাঁজার সঙ্গে সঙ্গে লেখাপড়া বন্ধ করে আমরা স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতাম । ঠিক সেই সময়ে ফাঁকা আসনগুলোতে গ্রামের মুরুব্বীরা এসে বসতেন, তাঁরা এভাবে নিয়মিতই আসতেন এবং ভরদুপুর পর্যন্ত বাবার সঙ্গে আড্ডা দিতেন । এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন (১) নমর উদ্দিন, Grand father of Golam Morshed Shanto, (২)  মকবুল হোসেন, Father of Rafiqul Islam Pintu, ( ৩ ) নীল মামুদ বসুনিয়া, (৪) ফজলুল হক, S/O Mofiz uddin, (৫) আব্দুল আজিজ ফুকুন্দু S/O Taje Mamud,(৬) আছের মোল্লা s/o Taje mamud, (৭) আকবর আলী প্রামানিক ওরফে আকবর চৌধুরী, (৮) সৈয়দ উদ্দিন পাইকার, (৯) বিলকান্ত বর্মন, Grand father of Promoth chandra Babu ও আরও অনেকে।  এঁদের মধ্যে ফজলুল হক ছাড়া এখন কেউ বেঁচে নেই । 



Shahjahan Hossain Lipu 

No comments:

Post a Comment