বাংলাদেশে সম্প্রচার হওয়া বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।

08 October, 2017

ব্লু হোয়েল গেম আসক্ত টিন-এজ ছেলে মেয়েদের ভিতরে আত্মহত্যা করার প্রবনতা সৃষ্টি করে ।

ব্লু হোয়েল একটা অনলাইন সুইসাইড গেম, যার ফাঁদে পরে সারা বিশ্বে শতশত টিন-এজ ছেলে মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
গেমটি কোথাও ডাউনলোড করে পাওয়া যায় না। তবে বিশেষভাবে গেমটির কিউরেটর বা এডমিনিস্ট্রেটরে
র নজরে আসা যায়।
এরপর কিউরেটর বা এডমিনিস্ট্রেটর নিজেই যোগাযোগ করে গেমের অংশ হিসেবে প্রতিযোগীকে একেক দিন একেকটা চ্যালেঞ্জ টাস্ক দেয়। এভাবে পঞ্চাশ দিনের মোট পঞ্চাশটি চ্যালেঞ্জ পূরণ করতে হয় গেমটি শেষ করার জন্য।
চ্যালেঞ্জগুলোও অনেক অদ্ভুত। যেমন- হাত কেটে কিছু লেখা, চাকু দিয়ে শরীরে তিমি মাছ আঁকানো, উঁচু বিল্ডিং এ চড়া, মাঝরাতে কবরস্থানে যাওয়া, গায়ের ভেতর সুই ফোটানো, ভোর রাতে বাহিরে বের হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
প্রত্যেক চ্যালেঞ্জ শেষ করার পর এর ছবি আবার এডমিনিস্ট্রেটরকে প্রমান স্বরুপ পাঠাতে হয় । তখন এডমিনিস্ট্রেটর তার সাহসিকতার প্রশংসা করে তাকে পয়েন্ট দেয়।
এভাবে উনপঞ্চাশটি চ্যালেঞ্জ শেষ করার পর শেষ চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয় সুইসাইড বা আত্মহত্যা করার।
আর এই চ্যালেঞ্জটিই বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে কয়েকশ টিন-এজ ছেলে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এমনকি পাশের দেশ ভারতেও বেশ কয়েকজন কিশোর আত্মহত্যা করেছে এই গেম খেলে।
আবার কেউ যদি গেমটি শুরু করার পর আর না খেলতে চায়, তখন তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হয় তার অথবা আত্মীয় স্বজনের ক্ষতি করার। যদিও এসব হুমকির কোন বাস্তবতা নেই, কিন্তু অনেক টি্ন-এজ ছেলে মেয়ে এগুলো হুমকিকেই সত্যি ভেবে ভয় পেয়ে গেমটা চালিয়ে যায়।
রাশিয়ার "ডেথ গ্রুপ" নামের একটা আন্ডারগ্রাউন্ড গ্রুপ গেমটি চালায়। এই গেমটি ২০১৩ সালে রাশিয়ার ফিলিপ বুদেকিন নামের একজন মনোবিজ্ঞানের ছাত্র তৈরি করে।
সম্প্রতি রাশিয়ার পুলিশ ফিলিপকে গ্রেপ্তার করার পর এই ভয়াবহ তথ্য বের হয়ে এসেছে।
ডাটা অনুযায়ী আট বছর থেকে বাইশ বছর পর্যন্ত কিশোর কিশোরীরা এই গেমে আসক্ত। এদের মধ্যে টিনেজরা বেশি আত্মহত্যা করেছে।
তাই নিজের কাছের কিশোর কিশোরীদের দিকে নজর রাখা উচিত সবসময়, কেউ এই গেমের সাথে জড়িয়ে গেছে কি না কিংবা কেউ কোন অস্বাভাবিক আচরণ করছে কি না।
এমন অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়লে অবশ্যই প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা সাথে সাথে গ্রহণ করতে হবে।



তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেনঃসালমা রেজা আপা ।

05 October, 2017

প্রধান বিচারপতির ছুটির আবেদন পত্রে ৬টি শব্দের বানান ভুল ছিল !

আবেদন পত্রটির ছায়ালিপি
প্রধান বিচারপতি লিখেছেন,
‘বরাবর
মহামান্য রাষ্ট্রপতি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।
বিষয় : অসুস্থতা জনিত কারণে ৩ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. হতে ১ নভেম্বর ২০১৭ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত ৩০ (ত্রিশ) দিনের ছুটির আবেদন।
মহাত্মন, 
আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি গত বেশ কিছুদিন যাবত নানাবিধ শারিরীক (শারীরিক) সমস্যায় ভুগছি। আমি ইতোপূর্বে ক্যান্সার রোগে অক্রান্ত (আক্রান্ত) হয়ে দীর্ঘ সময় চিকিৎসাধীন ছিলাম। বর্তমানে আমি বিভিন্ন শারিরীক (শারীরিক) জটিলতায় ভুগছি। আমার শারিরীক (শারীরিক) সুস্থতার জন্য বিশ্রামের একান্ত প্রয়োজন। ফলে আমি আগামী ৩ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. হতে ১ নভেম্বর ২০১৭ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত ৩০ (ত্রিশ) দিন ছুটি ভোগ করতে ইচ্ছুক। 
এমতাবস্থায়, আগামী ৩ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. হতে ১ নভেম্বর ২০১৭ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত ৩০ (ত্রিশ) দিনের ছুটির বিষয়ে মহাত্মনের সানুগ্রহ অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।


(বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা)
প্রধান বিচারপতি, বাংলাদেশ।’