সুদুর ব্রিটিশ আমল থেকে বাংলাদেশের
উত্তরাঞ্চল খরা ও মঙ্গাপীড়িত অঞ্চল হিসাবে বিবেচিত হওয়ায় তৎকালীন বৃটিশ সরকার ১৯৩৭
খ্রীষ্টাব্দে অনাবাদী জমিতে বাড়তি সেচ প্রদান ও বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি
নিষ্কাশন করে অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন করে উত্তরাঞ্চলকে স্বয়ংসম্পন্ন করে তোলার জন্যে
তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহন করে । কিন্তু মুল পরিকল্পনাটি গৃহীত হয়
পাকিস্তান আমলে ১৯৫৩ খ্রীষ্টাব্দে। ১৯৫৭ খ্রীষ্টাব্দে প্রকল্পটির কাজ শুরু করার
উদ্যোগ নেয়া হলেও পাকিস্তান সরকারের বেমাতা সুলভ আচরনের কারনে তা ভেস্তে যায় ।
at Tista Barrage on april o2, 2017 with Mithu . |
খরা মৌসুমে অনাবাদী জমিতে সেচসুবিধা প্রদান ,
বর্ষামৌসুমে সেচ এলাকা থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করা তথা বন্যা নিয়ন্ত্রনের
জন্যে অনেকগুলো ফেজ স্থাপন করা হয় । ফেজ সমূহ হলো- (১) নীলফামারী জেলার ৫টি
উপজেলা-সদর,ডিমলা,জলঢাকা,কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর ; (২) রংপুর জেলার ৪টি উপজেলা-সদর,
গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ ; (৩)
দিনাজপুর জেলার ৩টি উপজেলা – পার্বতীপুর, খানসামা, চিরির বন্দর ।
প্রায় সকল খাল বা ক্যানেল নীলফামারী জেলার
ভিতর দিয়ে রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া জেলায় গেছে ।
মন্তব্যঃ তিস্তা ব্যারেজের মূল প্রকল্পটি
লালমনিরহাট জেলায় অবস্থিত হলেও এর সেবা
থেকে জেলার সব উপজেলাই বঞ্চিত ।
This post of mine published in a newspaper, to view this, click here in AMADERSHOMOY.COM
This post of mine published in a newspaper, to view this, click here in AMADERSHOMOY.COM
এর কারন হল মূল নদীটি বয়ে গেছে লালমনিরহাট জেলা দিয়ে ৷
ReplyDeleteতিস্তা নদী ভারতের হিমালয় অঞ্চল সিকিম থেকে উৎপত্তি হয়ে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলা হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ারের সমভুমি দিয়ে বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলের কোলঘেষে প্রবাহিত হয়ে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ছাতনাই নামক স্থানে প্রবেশ করেছে । ছাতনাই থেকে এই নদী নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদর; রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এবং কুড়িগ্রামের উলিপুর হয়ে চিলমারীতে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে মিশে গেছে। ডিমলা থেকে চিলমারী পর্যন্ত এই নদী ১২৫ বর্গ কিলোমিটার লম্বা ।.
Deleteএই নদী নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা.............
ReplyDeleteরাফিউল হোসেন সম্পদ
ReplyDeleteহাতীবান্ধা ও জলঢাকা উপজেলার যোগাযোগব্যবস্থার জন্য আরেকটি তিস্তা সড়ক সেতু এখন সময়ের দাবী।
হাতীবান্ধা উপজেলা ও জলঢাকা উপজেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগব্যবস্থার জন্য তিস্তা নদীর উপর তিস্তা সেতু নির্মাণ এবং তিস্তা নদীকে শাসন করা প্রয়োজন।
তিস্তা নদীর বাম তীর রক্ষা করতে হলে এখন প্রয়োজন হাতীবান্ধা ও জলঢাকার মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থার জন্য সেতু নির্মাণ করা। সেতু নির্মাণ হলে দুই উপজেলার মানুষের যেমন ভাগ্য উন্নয়ন হবে তেমন বাম তীর রক্ষার জন্য বাঁধ নির্মাণ হবে এবং তিস্তা নদীকে শাসনও করা যাবে। সেই সাথে নীলফামারী,পঞ্চগড়,ঠাকুরগাঁ,দিনাজপুর জেলার সাথে যোগাযোগব্যবস্থা আরোও উন্নতি হবে এবং দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের সাথে যোগাযোগ সহজতর হবে। যদিও নদী ভাঙ্গনে দুর্দশা বেশী বাম তীরে বসবাসরত হাতীবান্ধা উপজেলাধীন সানিয়াজান,গড্ডিমারী,সিংগীমারী, সিন্দুর্ণা,পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের। ডান তীরে নদী ভাঙ্গনের সমস্যা কম হলেও তারাও ঝুঁকি মুক্ত নয়।এর কারণ হিসেবে যখন তিস্তা ব্যরেজ প্রকল্প হাতে নেয়া হয় তখন নকশায় মূল নদী এবং ফ্লাড বাইপাস ছিল নীলফামারী জেলায় আর ক্যানেল ছিল লালমনিরহাট জেলার আওতায় কিন্তু তখনকার প্রভাবশালী মন্ত্রী যাদু মিয়া পরবর্তীতে তার ছেলে ওখানকার এমপি থাকাকালীন ক্যানেল সুবিধা নীলফামারীতে নিয়ে যান ও মূল নদীকে বাধাগ্রস্ত করে লালমনিরহাট জেলা দিয়ে প্রবাহিত করার ব্যবস্থা করেন। সেসময় আমাদের আসনের এমপি প্রতিবাদ করতে ব্যর্থ হন। থাক সে কথা। গতকাল কিসামত নোহালী সোহাগের বাজারে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভাকে কেন্দ্র করে দুই উপজেলার মানুষের মিলনমেলা জনসভায় পরিনত হয়। প্রধান অতিথি লালমনিরহাট - ১ আসনের মাননীয় সাংসদ জনাব,মোতাহার হোসেন এমপি ও আমন্ত্রিত অতিথি নীলফামারী ৩ আসনের জনাব গোলাম মোস্তাফা এমপির উপস্থিতিতে হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব, মোঃ লিয়াকত হোসেন বাচ্চু মাননীয় দুই সাংসদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিস্তা সেতু নির্মাণের দাবী জানান। মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ মহান জাতীয় সংসদে সেতুর বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন।
শিমুল সিংহ দেবব্রত
ReplyDeleteঅসাধারণ লিখেছেন Shahjahan Hossain Lipu স্যার । এর বিরুদ্ধে জোড়ালো প্রতিবাদ তোলা উচিত । যে তিস্তার ভাঙ্গোন লালমনিরহাট , কুড়িগ্রাম জেলাকে সর্ব শান্ত করেছে সেচ প্রকল্প তাদের প্রাপ্য ।
কিন্তু এটা যেহেতু অামাদেরকে বণ্চিত করে বাস্তবায়ন হয়েছে তাই সরকারের উচিত অন্য উন্নয়ন বাজেট বাড়িয়ে দিয়ে এই দুই জেলার ভাগ্যের উন্নয়ন করা ।
অাজ লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামের লোক তিস্তার পানিতে ভাসছে পর্যাপ্ত ত্রাণ নেই অার যারা এর সুফল পাচ্ছে তারা অাজ সয়ংসম্পুর্ণ । এর জোরালো প্রতিবাদ দরকার । সুত্রঃ https://mobile.facebook.com/story.php?story_fbid=895447233948408&id=100004494180778&_rdr#896603640499434
ধন্যবাদ,স্যার।
ReplyDeleteসেচ প্রকল্পটা এখন লালমনিরহাটে এখন তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। তবে সেতুটা হলে দুপারের জনগণ যারপরনাই উপকৃত হবে।।
অনেক সুন্দর কথা বলেছেন স্যার!
ReplyDelete