বাংলাদেশে সম্প্রচার হওয়া বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।

20 May, 2018

দু'জন রাষ্ট্রপতির বাড়ী রংপুরে । তাঁদের আমলেও উন্নয়ন লাগেনি বেগম রোকেয়ার বাড়ীতে ।


নারী জাগরনের অগ্রদুত বেগম রোকেয়ার জন্মস্থান রংপুরের পায়রাবন্দে তাঁর ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ীটাকে রক্ষা করার জন্যে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত এদেশের কোনো সরকারই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করে নাই। ফলে দীর্ঘদিনের অবহেলা ও অযত্নের ফলে বেগম রোকেয়ার বাড়ীটির স্মৃতিচিহ্ন সমূহ এখন নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে । উল্লেখ্য রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার এই পায়রাবন্দে ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে বেগম রোকেয়া জন্মগ্রহন করেন ।
বেগম রোকেয়ার আঁতুর ঘর ।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে রংপুরের দু’জন ব্যক্তি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদ দখল করলেও তাঁদের আমলে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া পায়রাবন্দে বেগম রোকেয়ার ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ীটাতে এসে পৌঁছেনি । পৃথক পৃথক সময়ে ক্ষমতায় থাকা উক্ত রাষ্ট্রপতি দু’জন শুধু রাষ্ট্রপ্রধানই ছিলেন না, তাঁরা সরকার প্রধানও ছিলেন । তাঁদের একজনের নাম বিচারপতি আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, অপরজনের নাম জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ । বিচারপতি আবু সাদাত মুহম্মদ সায়েম ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৬ নভেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন এবং দেশজুড়ে সামরিক ফরমান জারি করেন। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ নভেম্বর তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের পদ থেকে এবং পরের বছর ২১ এপ্রিল তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অব্যহতি নেন । অপরজন জেনারেল এরশাদ ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে ক্ষমতা দখল করে টানা ৯ বছর দেশ শাসন করেছিলেন।
পৃথক পৃথক সময়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা উক্ত ব্যক্তিদ্বয়ের রংপুর শহরস্থ বাড়ী থেকে ১০/১৫ কিলোমিটার দূরত্বে বেগম রোকেয়ার বাড়ীটি অবস্থিত ।
তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তাঁর উদ্যোগে বেগম রোকেয়ার স্মৃতি রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে পায়রাবন্দে বেগম রোকেয়ার বাড়ীর ৩.১৫ একর জমিতে ১৪,৭১০ বর্গফুট বিশিষ্ট মুল ভবন, ২৫০ আসনের সুসজ্জিত মিলনায়তন, ১০০ আসনের সুসজ্জিত সেমিনার কক্ষ, ৫০জন পাঠকের উপযোগী করে একটি বিশাল গ্রন্থাগার তৈরী, বেগম রোকেয়ার একটি ভাস্কর্য তৈরী, প্রাচীর বেষ্টনী দিয়ে বেগম রোকেয়ার জন্মস্থানটিকে ঘিরে রাখা সহ অনেক অবকাঠামো নির্মান করা হয় ।



দ্রষ্টব্যঃ ভ্রমনের তারিখ  ১৯ মার্চ ২০১৮খ্রি । সৌজন্যে- মোজাম্মেল হোসেন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়, হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট।

মোঃ শাহজাহান হোসেন লিপু

No comments:

Post a Comment