বাংলাদেশে সম্প্রচার হওয়া বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।

10 May, 2017

বুকের সব বোতাম খোলা রেখে শার্ট পরিধানের নয়া ফ্যাশন । ভারতীয় সংস্কৃতিরই দাসত্ব গ্রহন !



পোশাক মানুষকে সুন্দর করে তোলে এবং মানুষের সৌন্দর্য ও মর্যাদাকে বৃদ্ধি করার জন্যে ইহা সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করে । কিন্তু শার্টের বুকের বোতামগুলোকে খোলা রেখে পরিহিত শার্টটি কোনোভাবেই পরিধানকারীর আভিজাত্য বা ব্যক্তিত্বকে ফুঁটিয়ে তুলে ধরে না বরং এই ধরনের পোশাক মানুষের ব্যক্তিত্ব ও আভিজাত্যকে ঠুঁনকো করে তোলে । বাঙালী সংস্কৃতির অঙ্গনে বা চিরায়ত বাঙালী সমাজে এমন পোশাকের অস্তিত্বকে কখনই খুঁজে পাওয়া যাবে না ।
কিন্তু সীমান্তের ওপার থেকে আসা আকাশ সংস্কৃতির সংক্রমনের কারনে আমাদের পোশাকীয় ঐতিহ্যের সংস্কৃতি ও আভিজাত্য এখন ভূলন্ঠিত হওয়ার পথে । ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল সমূহ যেমন ষ্টার জলসা, জি বাংলা, ষ্টার প্লাস সহ আরও অনেক চ্যানেলে পরিবেশিত নাটক বা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী নায়ক বা অন্যান্য শিল্পীরা (পুরুষ) পরিহিত শার্ট বা জামার বুকের বোতামগুলো খোলা রেখে অভিনয় করেন বা অনুষ্ঠান সমূহ পরিবেশন করেন । আর এদেশের কিছু কিছু কিশোর বা তরুন উল্লেখিত ভারতীয় সংস্কৃতিতে নিজের গা ভাসিয়ে দিচ্ছে । ভারতীয় সিনেমা-নাটকের নায়ক বা ভিলেনের অনুকরনে  এদেশীয় কিশোর ও তরুনরাও বুকের বোতাম খোলা রেখে জামা বা শার্ট পরিধান করা শুরু করে এবং ধীরে ধীরে অন্যান্যরাও এমনটিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে ।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত আমাদের বাঙালী সংস্কৃতি এখন সংকটের দিকে যাচ্ছে । যে কিশোর ও তরুনদের কর্মের উপরে ভিত্তি করে দেশ এগিয়ে যাবে, তারা যদি এমন অপসংস্কৃতি থেকে নিজেদেরকে দূরে না রাখে তা হলে ‘হতাশা’ই হবে আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী ।



শাহজাহান হোসেন লিপু

 
To view more comments, click my Facebook profile.

07 May, 2017

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধে মহাত্মা গান্ধীর নোয়াখালী সফর । তথায় চুরি হয়েছিল তাঁর প্রিয় ছাগলটা !

গোটা ভারতবর্ষে যখন হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তুঙ্গে উঠেছিল ঠিক সেই সময়ে নোয়াখালীতে মহাত্মা গান্ধীর সাথে থাকা তাঁর দুগ্ধদানকারী ছাগলটি চুরি হয়েছিল বলে গান্ধী দর্শন প্রচারের অগ্রদূত ‘পদ্মশ্রী’ পুরষ্কারে ভূষিত চিরকুমারী ঝর্ণাধারা চৌধুরীর স্মৃতি কথা থেকে জানা যায় ।
১৯৪৬ খ্রীষ্টাব্দের অক্টোবরে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিষবাষ্প তৎকালীন পূর্ব বাংলার ( বর্তমানে বাংলাদেশের) নোয়াখালীতে ছড়িয়ে পড়লে তথায় শান্তি ফিরে আনার লক্ষ্যে ১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দের ৭ নভেম্বর গান্ধীজি নোয়াখালীতে আসেন । ঐ দিন তিনি নোয়াখালীর চৌমুহনী রেলষ্টেশনে নেমেই সেখানকার রেলওয়ে মাঠে প্রথম জনসভা করেন । অতপর লক্ষ্মিপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামে  জনসভা করার মধ্য দিয়ে গান্ধীজি তাঁর গ্রাম পরিক্রমা কর্মসূচী শুরু করেন এবং পায়ে হেঁটে হেঁটে প্রতিটি গ্রামে তিনি হিন্দু-মুসলিম সবাইকে শান্তির অভয়বার্তা শোনান । দাঙ্গায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদেরকে পুনর্বাসন করার জন্যে তিনি নানামূখী কর্মসূচী গ্রহন ও বাস্তবায়ন করেন ।
নোয়াখালীতে গান্ধীজির সফরসূচী ও বাস্তবায়িত কর্মসূচীগুলো সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার জন্যে নানান মাধ্যম থাকলেও  ছাগলের দুধ নিয়মিতভাবে পান করতে অভ্যস্ত মহাত্মা করমচাঁদ গান্ধী ওরফে মহাত্মা গান্ধীর দুগ্ধদানকারী ছাগলের চুরি যাওয়ার বিষয়টি নথিভুক্ত তথ্যের বাইরেই থেকে যায় ।
 
 
 
 
শাহজাহান হোসেন লিপু
০৭-০৫-২০১৭

02 May, 2017

' ভাইয়া ' সম্বোধনটি এখন রাজনীতির মাঠে প্রতিনিয়ত অপব্যবহারের শিকার হচ্ছে ।



ভাইয়াসম্বোধনটি অতীব মধুর । আমাদের চিরায়ত পারিবারিক সংস্কৃতি অনুযায়ী অনুজরা তাদের অগ্রজদেরকে এমন সম্বোধন করে থাকে যা একটি পরিবারের বন্ধনকে আর দৃঢ় করে থাকে । কিন্তু আধুনিক প্রজন্মের কিছু কিছু রাজনীতিক এই মধুর সম্বোধনটিকে কলুষিত করে ফেলেছে । অধীনস্ত কর্মীরা যদি কথিত ঐ সমস্ত নেতাদেরকে ভাইয়াসম্বোধন না করে তাহলে অধীনস্ত কর্মীরা যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা  থেকে বঞ্চিত হয় । আর আবেগ তাড়িত হয়েই হোক বা চামচামি করার জন্যেই হোক কর্মীরাও ক্ষমতাধর নেতাটিকে ভাইয়াবলে সম্বোধন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে । আর ভাইয়ার ক্ষমতার আঁচড়ও লাগে ঐ কর্মীদের গায়ে । ভাইয়ার ক্ষমতার দাপটে চলা কর্মীরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বেপরোয়া হয়ে উঠে । হেন কোনো অপরাধ নেই যা করতে কর্মীরা দ্বিধা করে । আর এভাবেই সাধারন মানুষের ঐ সন্তানেরা অন্ধকার পথে পা বাড়িয়ে তাদের উজ্জল ভবিষ্যতটাকে বাধাগ্রস্ত করে তোলে ।



 শাহজাহান হোসেন লিপু
০২-০৫-২০১৭ খ্রীষ্টাব্দ।