বাংলাদেশে সম্প্রচার হওয়া বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।

27 November, 2016

ফেসবুকের মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার জন্যে সবার আন্তরিক প্রয়াস আবশ্যক ।



তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক দুনিয়ায় ফেসবুক মানুষের জীবনে একটা বিশাল স্থান দখল করে আছে । তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে মানসিকভাবে সক্ষম বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও ফেসবুকে একটা নির্দিষ্ট সময় ব্যয় করে যাচ্ছেন । ফলে সামাজিক ওয়েবগুলোর মধ্যে কেবল ফেসবুকই মানুষের প্রাত্যাহিক জীবনে  শীর্ষ স্থান দখল করে আছে ।

শিক্ষাকে বিশ্বমানের মর্যাদা দেয়া থেকে শুরু করে ইতিবাচক আনন্দকে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করা, মূমুর্ষ রোগীকে রক্ত দেয়া, সর্বোপরী প্রিয়জনদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করার ক্ষেত্রে এই মাধ্যমটি একটা সম্ভাবনাময় অধ্যায়ের সুচনা করতে পেরেছে ।

কিন্তু কিছু কিছু ব্যক্তির জন্যে ফেসবুকের মর্যাদা অনেকটাই হুমকির মূখে পড়েছে । মনে যা আসে তাই লিখে যাচ্ছে, একই লেখা বা একই ছবি বা নিজের ছবিই বারবার পোষ্ট করেই চলছে সেটা ঘটনাবহুল বা তাৎপর্যময় হোক বা না হোক । আবার কেউ কেউ নিজেকে বিরোহী প্রেমিক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে নিজের মর্যাদাও খুঁইয়ে দিচ্ছে ।

রুচির এই ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক অবস্থা অত্যন্ত দূঃখজনক বলে অভিহিত করে বাংলা বানান রীতির অনুসন্ধানীমূলক প্রতিবেদনের প্রণেতা জনাব আলী আখতার গোলাম কিবরিয়া অভিমত প্রকাশ করেন যে চাকুরী বা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কতৃপক্ষ যদি প্রার্থীর টাইমলাইন যাচাই করে প্রার্থী-সংশ্লিষ্ট ধারনা নেয়ার বিধিবদ্ধ প্রথা চালু করে তাহলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যেতে পারে ।

তরুন প্রজন্মের অন্যতম প্রতিনিধি শুভ্রনীল মিঠুর মতে সচেতনতা সৃষ্টি করে ফেসবুকে সকল অনাসৃষ্টি দূর করা সম্ভব, নইলে বিবেকবান মানুষ এই অঙ্গন ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হবেন।

click here to view more comments in my facebook profile.

26 November, 2016

চলে গেলেন সাম্যবাদের স্বপ্নচারীদের নায়ক ফিদেল কাস্ত্রো। আমরা শোকাহত ।



চলে গেলেন সাম্যবাদের স্বপ্নচারীদের নায়ক ফিদেল কাস্ত্রো। আজ ২৬ নভেম্বর ২০১৬ খ্রী শনিবার ৯০ বছর বয়সে তার জীবনাবসান হয়েছে । কিউবায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর অর্ধশতক কাল দেশ শাসন করে ২০০৮ সালে ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোকে ছেড়ে দিয়ে অবসরে ছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো।। যুক্তরাষ্ট্রের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সমাজতান্ত্রিক কিউবা প্রতিষ্ঠাকারী ফিদেল সারাবিশ্বে আন্দোলনকারীদের চোখে ছিলেন বীর । বাংলাদেশের এই অকৃত্রিম বন্ধুর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলী রইল ।

24 November, 2016

ফিরে দেখা ২০১৪ ও প্রিয় ফেসবুক গ্রুপ PATGRAM 2 VERVERI, খ্যাতির শিখরে উঠুক অনলাইন জগতে ।





বাংলাদেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় শীতকালে এখানে শীতের মাত্রাটি অনেক বৃদ্ধি পায়। একমাত্র আগুন তাপিয়ে শীতকে নিবারন করার প্রয়াস চালানো ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা শীতার্ত গরীব মানুষগুলোর। এই শীতার্ত মানুষগুলোর পাশে দাড়ানোর জন্যে এগিয়ে আসে এখানকার ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন গ্রুপ PATGRAM 2 VERVERI , সদস্যদের অর্থায়নে ক্রয় করা হয় অনেক কম্বল । এই কম্বল তুলে দেয়া হয় প্রকৃত শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ( ২০১৪ খ্রী, ১৭ ডিসেম্বর)আমন্ত্রিত হয়ে সেখানে উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্য আমারও হয়েছিল । গ্রুপটির কম্বল বিতরণের এই ঐকান্তিক প্রয়াস যদি অন্যান্য গ্রপ গুলোর মাঝে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে স্বার্থক হবে গোটা অনলাইন জগত ।

22 November, 2016

বৃষ্টির পূর্বাভাস দিবে ছাতা ।



এখন থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেবে ছাতা। তবে সে ছাতা যেমন তেমন নয়, স্মার্ট ছাতা। এই ছাতা বলে দেবে কখন বৃষ্টি হবে এবং সারাদিনে আবহাওয়া কেমন থাকবে।
এই ছাতার নাম দেয়া হয়েছে উমব্রেলা’ (oombrella)তবে এ ছাতা এখনও বাজারে না আসলেও এবছরের শেষের দিকেই তা আন্তর্জাতিক বাজারে আসবে বলে জানা গেছে। 
এই বিশেষ ছাতাটি প্রদর্শিত হয়েছে একাধিক গ্যাজেট কনফারেন্সে। এই উন্নত প্রযুক্তির স্মার্ট ছাতা আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানাবে আপনার ফোনে নোটিফিকেশন দিয়ে। শুধু তাই নয় ইউজারদের একটি বিশেষ কমিউনিটিতে এই ছাতা লাইভ ওয়েদার ডেটা শেয়ারও করবে। 
সবচেয়ে মজার কথা হল বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ে ছাতা নিতে ভুলে গেলে সে নিজেই মনে করিয়ে দেবে তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা। ঠিক তেমনই কোথাও এই ছাতা ভুল করে ফেলে আসার সুযোগ নেই। ছাতা ঠিক বলে উঠবে ফরগেট মি নট 
এই উমব্রেলা তৈরি হবে শক্তিশালী কেভলার রিব থেকে যা অত্যন্ত ঝোড়ো হাওয়াতেও পট করে ভেঙে যাবে না বা উল্টে যাবে না। অত্যন্ত ভারী বর্ষণ থেকে মাথা এবং দেহকে বাঁচাবে। তাছাড়া ছাতা মাথায় হাঁটতে হাঁটতে কোন ফোন এলে ছাতায় জ্বলে উঠবে একটি আলো এবং রিং-টোন বেজে উঠবে। এই ছাতায় থাকছে চারটি সেন্সরতাপমাত্রা, আলো, বায়ুচাপ এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা। ব্লু-টুথের মাধ্যমে এই সেন্সরগুলি সংযুক্ত থাকবে আপনার স্মার্টফোনে। ( সংগৃহীত )

21 November, 2016

পেনশনের টাকায় নাসির স্যারের শিশুপার্ক ।



গড়াই বিধৌত কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে পেনশনের টাকা দিয়ে নিজ বাড়ীর আঙিনায় শিশুদের জন্যে শিশুপার্ক প্রতিষ্ঠা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক নাসির উদ্দিন, স্থানীয়ভাবে যিনি নাসির স্যার নামে  পরিচিত ।
২০০৭ সালে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদ থেকে অবসর নেয়ার পরে জীবনের পুরোটা সময় তিনি ব্যয় করেছেন তাঁর লালিত স্বপ্ন শিশুপার্ক টিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে । যেখানে বিনা পয়সায় নির্মল আনন্দের স্বাদ গ্রহন করে পল্লীর শিশুরা ।

নাসির স্যার মিনি শিশুপার্কের পাশাপাশি বাড়ীতে একটি লাইব্রেরীও প্রতিষ্ঠা করেছেন । সব বয়সী পাঠকের জন্যে এখানে প্রচুর বই আছে ।

শিশুদের বিনোদনের জন্যে আঙিনায় গড়ে তোলেন বাগান। বাগানটিতে ১৭০ প্রজাতির গাছ আছে । প্রতিটি গাছে লেমনেটিং করে নাম লেখা আছে, যাতে শিশুরা সহজে চিনতে পারে ।

দেশের প্রতিটি গ্রামে যদি একজন করে নাসির স্যারের জন্ম হতো তাহলে অন্ধকারে নিমজ্জিত গ্রামগুলো ফিরে পেত হারানো ঐতিহ্য।