বাংলাদেশে সম্প্রচার হওয়া বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।

22 August, 2017

ক্ষুব্ধ সানিয়াজান নদী, বন্যায় নিঃস্ব হলো হাজারো মানুষ । বন্যার দায় তীরবর্তী ভুমি-খেঁকোরাও এড়াতে পারে না ।



“ আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে......’’ রবি ঠাকুরের এই কবিতাটির মর্মার্থের সাথে অনেকটা মিল খুঁজে পাওয়া যায় লালমনিরহাট জেলার সানিয়াজান নদীর । শীতকালে বা খরাকালে এই নদীতে হাঁটু পরিমানের অধিক জল থাকে না । পায়ে হেটে লোকজন নদীর এপার-ওপার যাতায়াত করে । কিন্তু বর্ষা এলে নদীর চিরচেনা রুপ পাল্‌টিয়ে গেলেও ইতোপূর্বে এই নদী মানুষের জীবন যাত্রার উপরে তেমন একটা বিরুপ প্রভাব ফেলেনি । কিন্তু গত ১২ আগষ্ট ২০১৭ তারিখে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তালেবমোড়ের নিকটে বাঁম তীরের একটি বাঁধকে ভেঙ্গে দিয়ে এই সানিয়াজান নদী ( The Saniajan river) উপজেলার ৩টি ইউনিয়নকে প্লাবিত করে । ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে পরে মানুষের ঘরবাড়ী, অনেকের বাড়ীঘর পানিতে ভেসে যায়, ফসলী জমি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয় । সড়কের পুল-কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে । বন্যাকবলিত মানুষ এখনও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে পারেনি ।

উল্লেখ্য এই নদীটি ভারত-তিব্বতের সীমান্ত ঘেঁষে দন্ডায়মান হিমালয় পর্বতমালার একটি পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ সীমান্তের মাধ্যমে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ৮নং বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা মৌজার বামনদল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং পাটগ্রাম উপজেলার পানবাড়ী-দহগ্রামের নিকটে এসে সানিয়াজান নদী ( The Saniajan river) দুইভাগে বিভক্ত হয়ে ডান অংশটি দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা সিটমহল দিয়ে তিস্তা নদীর ভারতীয় অংশের সাথে মিলিত হয় এবং বাম অংশটি সানিয়াজান নাম নিয়েই পাটগ্রাম উপজেলার নয়া বাউরা-বাউরা হয়ে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তালেবমোড় নামক স্থানে এসে তিস্তা নদীর সাথে মিলিত হয় ।

সানিয়াজান নদী ( The Saniajan river) কে ক্ষিপ্ত করে তুলেছে তীরবর্তী কিছু মানুষ ও ভূমি দস্যু বা ভূমি-খেঁকোরানদীর দুই তীরে নদীর জমি দখল করে বাড়ীঘর নির্মান করে তারা নদীটির স্বাভাবিক প্রবাহকে বাঁধাগ্রস্ত করে তুলেছে। শুকনো মৌসুমে নদীর তলদেশ ভরাট করে অনেক চাষী ভুট্টা ও ইরি চাষ করে থাকে । ফলে নদীটি দিনদিন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে ।
তাই অতিবৃষ্টি বা সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পানির ঢলে ভয়ঙ্কর রুপ ধারন করে সানিয়াজান নদী


শাহজাহান হোসেন লিপু,
২২-০৮-২০১৭ খ্রীষ্টাব্দ ।

15 August, 2017

মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছায়াছবি সমুহের নাম (পরিচালকের নাম ও সাল উল্লেখ পূর্বক) ।

নাম পরিচালক সন
ওরা এগারজন চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৭২
সংগ্রাম চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৭৪
রক্তাক্ত বাংলা মমতাজ আলী ১৯৭২
বাঘা বাঙালি আনন্দ ১৯৭২
অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী সুভাষ দত্ত ১৯৭২
জয়বাংলা ফখরুল আলম ১৯৭২
আমার জন্মভূমি আলমগীর কুমকুম ১৯৭৩
ধীরে বহে মেঘনা আলমগীর কবির ১৯৭৩
আবার তোরা মানুষ হ খান আতাউর রহমান ১৯৭৩
বাংলার ২৪ বছর মোহাম্মদ আলী ১৯৭৪
কারহাসি কে হাসে আনন্দ ১৯৭৪
সূর্য সংগ্রাম আবদুস সামাদ ১৯৭৪
আলোর মিছিল নারায়ণ ঘোষ মিতা ১৯৭৪
মেঘের অনেক রঙ হারুনুর রশিদ ১৯৭৬
রুপালি সৈকত আলমগীর কবির ১৯৭৯
নদীর নাম মধুমতি তানভীর মোকাম্মেল ১৯৭৯
কলমিলতা শহীদুল হক খান   ১৯৮১
বাধনহারা এ জে মিন্টু ১৯৮১
চিৎকার মতিন রহমান ১৯৮২
আগুনের পরশমনি হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯৪
হাঙ্গর নদী গ্রেনেড চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৯৭
মাটির ময়না তারেক মাসুদ ২০০২
শ্যামল ছায়া হুমায়ূন আহমেদ ২০০৪
জয়যাত্রা তৌকির আহমেদ ২০০৪
ধ্রুবতারা চাষী নজরুর ইসলাম ২০০৬
মেহেরজান রুবাইয়াত হোসেন ২০১০
আমার বন্ধু রাশেদ মোরশেদুল ইসলাম ২০১১
গেরিলা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ২০১১
ও আমার দেশের মাটি অনন্ত হীরা
এইতো প্রেম সোহেল আরমান
আত্মদান   শাজাহান চৌধুরী


মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র সমূহ:

নাম পরিচালক সন
স্টপ জেনোসাইড জহির রায়হান ১৯৭১
এ স্টেট ইজ বর্ন জহির রায়হান ১৯৭২
ডেটলাইন বাংলাদেশ ব্রেন টাগ ১৯৭১
দ্যা লিবারেশন ফাইটার্স আলমগীর কবির   ১৯৭১
নাইন মান্থ টু ফ্রিডম এস সুকুদেব ১৯৭২
স্মৃতি একাত্তর তানভীর মোকাম্মেল ১৯৯১
মুক্তির গান তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ   ১৯৯৫
মুক্তির গান তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ   ১৯৯৯
জয়যাত্রা তৌকির আহমেদ ২০০৪
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আলমগীর কবির
ইনোসেন্ট মিলিয়নস বাবুল চৌধুরী
রিফিউজি ৭১ বিনয় রাই
দ্যা কান্ট্রি মেড ফর বাংলাদেশ রবার্ট রজার্স
মেজর খালেদস ওয়ার ভারিয়া কেউল
আদভানি, জয় বাংলা নাগিসা ওশিমা
লুট অ্যান্ড লাস্ট কাউল
১৯৭১ তানভীর মোকাম্মেল


মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক স্বর্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সমূহ:

নাম পরিচালক সন
হুলিয়া তানভীর মোকাম্মেল ১৯৮৪
আগামী মোরশেদুল ইসলাম ১৯৮৪
ধূসর যাত্রা আবু সায়ীদ ১৯৮৯
সূচনা মোরশেদুল ইসলাম
আবর্তন আবু সাইয়িদ
প্রত্যাবর্তন মোস্তফা কামাল
দূরন্ত খান আখতার হোসেন
স্মৃতি ৭১ তানভির মোকাম্মেল
চাক্কি এনায়েত করিম বাবুল
বখাটে হাবিবুল ইসরাম হাবিব
একাত্তরের যীশু নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু ১৯৯৪
নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ মাসুদ পথিক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সপরিবারে হত্যার খবরটি পরের দিন কোনো পত্রিকার প্রধান শিরোনামে আসেনি ।

১৯৭৫ সালের ১৬ আগষ্টের দৈনিক ইত্তেফাক ।
১৯৭৫ সালের ১৬ আগষ্টের দৈনিক বাংলা ।
১৯৭৫ সালের ১৬ আগষ্টের দৈনিক The Bangladesh Times.
১৯৭৫ সালের ১৬ আগষ্টের দৈনিক THE BANGLADESH OBSERVER.

06 August, 2017

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চিন্তা চেতনায় সবার উপরে গরু-ছাগলই সত্য !

সবার উপরে যে গরু-ছাগল সত্য, তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নীরবতা থেকে সহজে উপলব্ধি করা সম্ভব ! মফস্বল এলাকায় গরু-ছাগল পালনকারী অধিকাংশ
ব্যক্তি রাস্তার ঠিক মাঝখানে খাদ্য হিসাবে খড়-ঘাস বিছিয়ে দিয়ে তাতে তাদের গরু-ছাগলগুলো বেঁধে রাখে । মানুষ ও যান চলাচলের ক্ষেত্রে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতার কারনে
যে কোনো মুহূর্তে এই স্থানগুলোতে  দূর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে । আর দূর্ঘটনা ঘটে গেলে রেহাই নেই, উল্‌টো পথিক বা যান চালকদেরকেই জরিমানার টাকা গুনতে হয় বা হবে ।
ঐ গরু-ছাগল পালনকারী ব্যক্তিরাও ভোটার, ভোটের রাজনীতিতে তাদেরও কদর আছে ।রাস্তার মাঝখানে গরু-ছাগল চড়ানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা হয়তোবা তাদের আখের নষ্ট করতে চান না ।
To view more comments , clike in my FACEBOOK PROFILE