চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম কাব্য তথা
সাহিত্য নিদর্শন। খ্রিষ্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই
গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ। বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ় অর্থ সাংকেতিক রূপের মাধ্যমে ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যেই
তাঁরা পদগুলি রচনা করেছিলেন। বাংলা ভাষার এরুপ প্রাচীনতম নিদর্শন পাওয়া
যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কতৃক নেপালের রাজদরবার হতে সংগৃহীত চারটি প্রাচীন
বৌদ্ধ পুঁথিতে । এগুলো চর্যাপদ নামে পরিচিত। বাংলা
সাধন সংগীত শাখাটিরও সূত্রপাত
হয়েছিলো এই চর্যাপদ থেকেই। একই সঙ্গে
সমকালীন বাংলার সামাজিক ও প্রাকৃতিক চিত্রাবলি এই পদগুলিতে সুন্দর ভাবে বর্ণিত আছে। এই
চর্যাপদগুলোর মধ্যেই বাংলা সাহিত্যের জন্ম হয় ।পরবর্তীতে আচার্য সুনীতি কুমার
চট্টোপাধ্যয় ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের
মাধ্যমে চর্যাপদের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনস্বীকার্য যোগসূত্র বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ প্রতিষ্ঠিত করেন।
চর্যার প্রধান কবিগণ হলেন লুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ, শবরপাদ প্রমুখ।
03 November, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
-
তরুন অনলাইন একটিভিষ্ট ও ফেসবুক তারকা আশরাফুল কাইয়্যুম খোকন গত বুধবার , ২৬ অক্টোবর ২০১৬ , ১১ কার্তিক ১৪২৩ , ২৪ মহররম ১৪৩৮ ভোরে রংপুর...
-
সুদুর ব্রিটিশ আমল থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল খরা ও মঙ্গাপীড়িত অঞ্চল হিসাবে বিবেচিত হওয়ায় তৎকালীন বৃটিশ সরকার ১৯৩৭ খ্রীষ্টাব্দে অনাবাদী...
-
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা বাজারটি সানিয়াজান নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় সুদুর অতীতে নদীপথে বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে বাউরা বাজারে...
No comments:
Post a Comment