আমার বাবা মোজাম্মেল হোসেন বড়খাতা বাজার
থেকে আমার জন্যে প্রথম শ্রেনীর বাংলা বই ‘ সবুজ সাথী ১ম ভাগ’ বইটি ক্রয় করে আনেন
এবং রেওয়াজ অনুযায়ী আমাদের পীর সাহেব হুজুর হযরত নুর আহাম্মদ দরবেশ সাহেবের হাত
দিয়ে আমার হাতে অর্পন করান । মুলত লেখাপড়ায় আমার হাতে খড়ি হয় আমার বাবার মাধ্যমেই
।
আমার বাবার প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া বেশীদুর
ছিল না ।তিনি ভারতের মাথাভাঙ্গা ইংরেজী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনী পর্যন্ত
লেখাপড়া করেছেন । ১৯৩৭ খ্রীষ্টাব্দে তাঁর একমাত্র অভিভাবক ও বড়ভাই আজগার আলী
মৃত্যুবরন করলে সংসারের হাল ধরার জন্যে লেখাপড়ায় ইতি টেনে তাঁকে বাড়ী ( বর্তমান
জেলা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানা/উপজেলার অন্তর্গত পূর্বফকির পাড়া গ্রাম)’তে চলে
আসতে হয় । বাবার লেখাপড়া বেশীদুর না থাকলেও আমরা সব ভাইবোন, আমাদের
ভ্রাতুষ্পুত্র-ভ্রাতুষ্পুত্রী, আমাদের ভাগ্নে-ভাগ্নি সবাই এস এস সি পর্যন্ত বাবার
সরাসরি তত্বাবধানে লেখাপড়া করতাম ।
উল্লেখ্য যে, মুল বাড়ীটির বহিরাঙ্গনে থাকা
ভিটে জমিটি বিশাল ছিল, জমিটির তফশীলঃ জেলা-লালমনিরহাট, উপজেলা/ থানা- হাতীবান্ধার
অন্তর্গত মৌজা পূর্ব ফকির পাড়ার এস এ দাগ নং ১৫৯৪/ হাল দাগ নং ২৮৯৩ এর বাটা ২৯৭৮ এ
১৪(চৌদ্দ) শতক । এই জমির পূর্ব-দক্ষিন কোনে বোগড় আমগাছ তলার নীচের ফাঁকা জায়গায় এবং একই
দাগের পশ্চিম সীমানায় উত্তর-দক্ষিনে লম্বা কাছারী ঘরে বাবা আমাদেরকে পড়াতেন ।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টা বাঁজার সঙ্গে সঙ্গে
লেখাপড়া বন্ধ করে আমরা স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতাম । ঠিক সেই সময়ে ফাঁকা
আসনগুলোতে গ্রামের মুরুব্বীরা এসে বসতেন, তাঁরা এভাবে নিয়মিতই আসতেন এবং ভরদুপুর
পর্যন্ত বাবার সঙ্গে আড্ডা দিতেন । এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন (১) নমর উদ্দিন,
Grand father of Golam Morshed Shanto, (২) মকবুল হোসেন, Father of Rafiqul Islam Pintu, ( ৩ ) নীল মামুদ বসুনিয়া, (৪) ফজলুল হক, S/O
Mofiz uddin, (৫) আব্দুল আজিজ ফুকুন্দু S/O Taje Mamud,(৬) আছের মোল্লা s/o Taje
mamud, (৭) আকবর আলী প্রামানিক ওরফে আকবর চৌধুরী, (৮) সৈয়দ উদ্দিন পাইকার, (৯) বিলকান্ত বর্মন, Grand father of Promoth chandra Babu ও আরও অনেকে। এঁদের মধ্যে ফজলুল
হক ছাড়া এখন কেউ বেঁচে নেই ।
Shahjahan Hossain Lipu
No comments:
Post a Comment