প্রযুক্তির অনেক ইতিবাচক দিক থাকলেও
অতিরিক্ত আসক্তির ফলে ‘ সেল্ফি’ নামক নিজেই নিজের ছবি তোলার অপশনটি মানুষের জন্যে
বিশেষ করে তরুন বা কিশোরের জন্যে ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত সেল্ফি
প্রবনতা তরুন বা কিশোরদেরকে নিবন্ধ, প্রবন্ধ বা সামাজিক সুখ-দূঃখের কাহিনী বা
বাস্তবধর্মী লেখালেখি করার উদ্যোগী ভুমিকাকে নস্যাৎ করে দেয় । সর্বোপরী সেল্ফি
প্রবনতা ব্যবহারকারীর ভিতরে নিখুঁত ছবি তুলতে না পারার খুঁতখুঁতে ভাব সৃষ্টি করে
দেয়। যার ফলে ব্যবহারকারী দিনদিন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে । যার নেতিবাচক প্রভাব
সর্বক্ষেত্রে পড়ে ।
যাঁরা ফেসবুক, টুইটার বা বিভিন্ন সামাজিক
ওয়েব সাইট ব্যবহার করেন তাঁদের চোখে সেল্ফির কুফলটা সহজে চোখে পড়ে । এই সমস্ত
ওয়েবে একশ্রেনীর তরুন বা কিশোর নিজের বা নিজেদের সেল্ফি তুলে প্রতিনিয়ত ফেসবুক বা
টুইটারে আপলোড করছে ।সামাজিক অবক্ষয় দূরীকরণের জন্যে বা শিক্ষাকে বিশ্বমানের রুপ
দেয়ার জন্যে বা নিজের অনুভুতিগুলোকে লিখে ফেসবুক বা টুইটারে পোস্ট করার মত সক্ষমতা
তাদের মধ্যে থাকে না । কারন সুন্দর কিছু লিখে পোস্ট করার চেয়ে তারা সেল্ফি তুলে
ফেসবুক বা টুইটারে আপলোড করতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে । ফলে কোনো বিষয় নিয়ে লেখালেখি
করার চর্চাটা তাদের মধ্যে থাকে না ।
সেল্ফিতে নিখুঁত ছবি ছবি তোলার জন্যে
বারবার চেষ্টা করতে গিয়ে তা একসময় নেশায় পরিনত হয়, আবার নিজের নিখুঁত ছবি তুলতে না
পারার ব্যর্থতায় অনেকে অযাচিতভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে ।
ভি আই ওয়াই হেল্থ একাডেমী থেকে প্রকাশিত একটি
রিপোর্টে বলা হয়েছে সেল্ফি-আসক্তদের দুই-তৃতীয়াংশ ব্যক্তি বডি ডিসফরমেটিক
ডিস-অর্ডারে আক্রান্ত থাকেন, এটি এমন একটি রোগ যার কারনে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের
চেহারার খুঁত নিয়ে অনবরত দুঃশ্চিন্তা করে । আর দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তি
পরবর্তীতে নিজের কাছে, পরিবারের বা সমাজের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়ায় ।
শাহজাহান হোসেন লিপু
তারিখ ১২-০১-২০১৮খ্রী.
No comments:
Post a Comment