নারী ও পুরুষের মধ্যে কে বেশী স্বার্থপর তা
বিবেচনা করার জন্যে নারী ও পুরুষের আচরণগত দিকগুলোকে পৃথক পৃথক ভাবে পর্যালোচনা
করা উচিত । তবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের ব্যাপক পদচারনার ফলে পুরুষরাই অধিক
হারে সীমা অতিক্রম করে এবং স্বার্থপর হয়ে উঠে । অনুরুপ পরিবেশ নারীদের জন্যে
অবারিত না থাকায় তাদের কর্মকান্ডের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব কম পড়ে । ফলে
স্বার্থপরতার বিচারে নারীরা পুরুষের তুলনায় কম স্বার্থপর হয়ে থাকে ।
সামাজিক ক্ষেত্রে চোখ রাখলেও বুঝা যায়
সেখানেও পুরুষরা অপেক্ষাকৃত বেশী স্বার্থপরতার পরিচয় দিয়ে থাকে । ঠুন্কো
কাগজপত্রের অজুহাতে অন্যের সম্পত্তি দখলে আনা বা অন্যকে অকারনে মামলায় জড়ানো বা
হয়রানীর শিকার করানোর ক্ষেত্রে পুরুষরাই বেশী নেতিবাচক ভুমিকা রাখে ।
প্রেমের Break
up ঘটানোর ক্ষেত্রে মেয়েরা অগ্রনী ভুমিকা রাখলেও বিষয়টি
নিরপেক্ষ পর্যালোচনার দাবী রাখে । আবেগ প্রবনতার মাধ্যমে সৃষ্ট প্রেমে ন্যুনতম
বাস্তবতা থাকে না । তাই মেয়েরা নিজের বা নিজেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা
করে প্রেমে Break up ঘটায় । এজন্যে ঐ মেয়েকে বা মেয়েদেরকে স্বার্থপর না বলে তাদেরকে বিচক্ষন
বলাই শ্রেয় হবে ।
দুটি লিঙ্গের ক্ষেত্রে এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার
বেলায় ‘ডোপামিন সিষ্টেম’ সংকেত দেয়। তাহলে আমাদেরকে ডোপামিন সিষ্টেম সম্পর্কে
জানতে হবে । সমাজে চলার পথে বিভিন্ন সময়ে নেয়া সিদ্ধান্ত নেয়ার সঙ্গে মস্তিষ্কের
কার্যক্ষমতা ও আনুপাতিক হারে পাল্টে যাওয়ার নিয়মটাকে ‘ডোপামিন সিষ্টেম’ বলা হয়
মর্মে জুরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো ইকোনমিক্স ও স্যোশাল নিউরো সায়েন্সের অধ্যাপক
ফিলিপ টবলার মত দিয়েছেন ।
মানুষের জীবনে প্রেরনা, পাওয়ার ইচ্ছা,
আবেগকে নিয়ন্ত্রন করে ‘ রিওয়ার্ড সিষ্টেম’ যেখানে ডোপামিন সিষ্টেম মুল ভুমিকা পালন
করে । নারী-পুরুষের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ডোপামিন সিষ্টেমের প্রভাব বুঝতে পেরে
বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু পরীক্ষা চালান। এই পরীক্ষায় দেখা গেছে পুরুষের তুলনায় নারীর
মস্তিষ্ক অপেক্ষাকৃত বেশী ইতিবাচক সাড়া দেয় ।
শাহজাহান হোসেন ( লিপু )
০১ জানুয়ারী ২০১৮
No comments:
Post a Comment