তবে ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন
সময়ে ব্যবহৃত পতাকার লাল বৃত্তের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত ছিল এবং তৎদ্বারা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল যে
এই ভূ-খন্ডে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে ।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রথম ডিজাইন করেন
শিবনারায়ন দাস। তিনি ১৯৭০ খ্রীষ্টাব্দের ৬ জুন গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
জহুরুল হক হলের ( তৎকালীন ইকবাল হলের ) ১১৮ নং কক্ষে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সবুজ
আয়তক্ষেত্র ও উহাতে লালবৃত্তের মধ্যে
বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত জাতীয় পতাকার একটি ডিজাইন অঙ্কন করেন ও সেই অনুযায়ী জাতীয়
পতাকা তৈরী করেন ।
১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের অগ্নিঝরা মার্চের ২
তারিখে তৎকালীন ছাত্রনেতা আ স ম আব্দুর রব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পশ্চিম
দিকের গেটে প্রথম বারের মত শিবনারায়ন দাসের ডিজাইনকৃত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ।
আর এই পতাকাটিই ছিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা ।
১৯৭২ খ্রীষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধু সরকার
শিবনারায়ন দাসের ডিজাইনকৃত পতাকার মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার
মাপ, রঙ ও তার ব্যাখ্যা সম্বলিত একটি প্রতিবেদন দাখিল করার জন্যে পটুয়া কামরুল
হাসানকে দায়িত্ব দেয় ।
পটুয়া কামরুল হাসান কতৃক পরিমার্জিত রুপটিই
বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ।