বাংলাদেশে সম্প্রচার হওয়া বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।

28 December, 2016

মানচিত্র অঙ্কিত জাতীয় পতাকাটি এখন ব্যবহার করা সম্পূর্ণরুপে বে-আইনী ।



বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিপীড়িত ও বঞ্চিত বাঙালীদের অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ফসল । পতাকার সবুজ আয়তক্ষেত্রটি ও বৃত্তের লাল রঙটি যথাক্রমে সবুজ প্রকৃতির প্রতিক এবং মুক্তিযুদ্ধে জীবনদানকারী শহীদদের রক্তের প্রতিক হিসাবে নির্দেশ করিতেছে ।

তবে ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ব্যবহৃত পতাকার লাল বৃত্তের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত ছিল  এবং তৎদ্বারা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল যে এই ভূ-খন্ডে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে ।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রথম ডিজাইন করেন শিবনারায়ন দাস। তিনি ১৯৭০ খ্রীষ্টাব্দের ৬ জুন গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের ( তৎকালীন ইকবাল হলের ) ১১৮ নং কক্ষে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সবুজ আয়তক্ষেত্র ও উহাতে  লালবৃত্তের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত জাতীয় পতাকার একটি ডিজাইন অঙ্কন করেন ও সেই অনুযায়ী জাতীয় পতাকা তৈরী করেন ।

১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের অগ্নিঝরা মার্চের ২ তারিখে তৎকালীন ছাত্রনেতা আ স ম আব্দুর রব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পশ্চিম দিকের গেটে প্রথম বারের মত শিবনারায়ন দাসের ডিজাইনকৃত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন । আর এই পতাকাটিই ছিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা ।

১৯৭২ খ্রীষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধু সরকার শিবনারায়ন দাসের ডিজাইনকৃত পতাকার মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ ও তার ব্যাখ্যা সম্বলিত একটি প্রতিবেদন দাখিল করার জন্যে পটুয়া কামরুল হাসানকে দায়িত্ব দেয় ।
পটুয়া কামরুল হাসান কতৃক পরিমার্জিত রুপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ।

No comments:

Post a Comment