গোটা ভারতবর্ষে যখন হিন্দু-মুসলিম
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তুঙ্গে উঠেছিল ঠিক সেই সময়ে নোয়াখালীতে মহাত্মা গান্ধীর সাথে
থাকা তাঁর দুগ্ধদানকারী ছাগলটি চুরি হয়েছিল বলে গান্ধী দর্শন প্রচারের অগ্রদূত
‘পদ্মশ্রী’ পুরষ্কারে ভূষিত চিরকুমারী ঝর্ণাধারা চৌধুরীর স্মৃতি কথা থেকে জানা যায়
।
১৯৪৬ খ্রীষ্টাব্দের অক্টোবরে হিন্দু-মুসলিম
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিষবাষ্প তৎকালীন পূর্ব বাংলার ( বর্তমানে বাংলাদেশের)
নোয়াখালীতে ছড়িয়ে পড়লে তথায় শান্তি ফিরে আনার লক্ষ্যে ১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দের ৭
নভেম্বর গান্ধীজি নোয়াখালীতে আসেন । ঐ দিন তিনি নোয়াখালীর চৌমুহনী রেলষ্টেশনে
নেমেই সেখানকার রেলওয়ে মাঠে প্রথম জনসভা করেন । অতপর লক্ষ্মিপুর সদর উপজেলার
দত্তপাড়া গ্রামে জনসভা করার মধ্য দিয়ে
গান্ধীজি তাঁর গ্রাম পরিক্রমা কর্মসূচী শুরু করেন এবং পায়ে হেঁটে হেঁটে প্রতিটি
গ্রামে তিনি হিন্দু-মুসলিম সবাইকে শান্তির অভয়বার্তা শোনান । দাঙ্গায় যারা
ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদেরকে পুনর্বাসন করার জন্যে তিনি নানামূখী কর্মসূচী গ্রহন ও
বাস্তবায়ন করেন ।
নোয়াখালীতে গান্ধীজির সফরসূচী ও বাস্তবায়িত
কর্মসূচীগুলো সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার জন্যে নানান মাধ্যম থাকলেও ছাগলের দুধ নিয়মিতভাবে পান করতে অভ্যস্ত
মহাত্মা করমচাঁদ গান্ধী ওরফে মহাত্মা গান্ধীর দুগ্ধদানকারী ছাগলের চুরি যাওয়ার
বিষয়টি নথিভুক্ত তথ্যের বাইরেই থেকে যায় ।
শাহজাহান হোসেন লিপু
০৭-০৫-২০১৭
No comments:
Post a Comment